59Th pOst : নবেন্দু বিকাশ রায়


সংশ্লিষ্ট গদ্যাবলী /ভূতচালানি


টুং আর টাংদের দেশে অনেকগুলি সানগ্লাস আছে , তারা রোদ্দুরে চুল শুকোতে দেয় , কাপড় ম্যালে , নীচু হয়ে মানুষের মাথা দ্যাখে তাদের কড়া ধরে জোর ঝাঁকালে টুপটাপ করে ডেটলে ভেজা তুলো পড়তে থাকে সিলিঙ থেকে সিরিয়াসলি , মনে করো রোদচশমাটায় কয়েকবিন্দু মেঘ জমে গ্যাছে , একজন মহিলা বাসে উঠছে হাতে তিনটে বেলুন নিয়ে দুটো নীল একটা শাদা , মিল্কি হোয়াইট ... এবার বেলুনকে তো পালাতেই হয় হৈ হৈ করে অনুরোধের ড্রামা তারা জমে থাকে বাসের ছাদে , বামন মানুষেরা নামানোর চেষ্টা করে লাফায় , হিংসেয় তাদের মুখের বাটাম বদলে যায় টুং আর টাং ভাবছিলো , তারা বেলুনগুলোকে ফাটিয়ে দেবে কি না মাথার ক্লিপ তীক্ষ্ণতাকে স্যাট করে বাঁ দিক দিয়ে পাশ কাটিয়ে চলে আসে টাংএর মুঠোয় টুং তাকে বাধা দেয়  

মন্ত্রগুপ্তি
Oh! Shit,
তোমাকে তো বলাই হয়নি কাল অথবা এসেছিলো
অধিবিদ্যা
অথবা নয়তো , ঠিক জানি না তবে হ্ম নয়
আলেফ

এইসব কথা বলতে না বলতেই টুং মস্ত বড় একটা ডিলডো হয়ে ওঠে ঘটনাচক্রে , সেইদিনই এক মেয়ে তাকে বলেছিল , তেরা ডিলডো তো মস্ত হ্যায় সম্ভবত বিহারিনি তার গলায় অদ্ভুত টান , একটা কে পেঁচিয়ে রাখলে যেরকম টান হয় সে ডিলডোর চোখে বেছে বেছে একটা মোটা সানগ্লাস পরিয়ে দিয়ে বলেছিল , ক্যা দিখাই দে রহা হ্যায় ? টুং বলেছিল , খুশবু সেদিন ধরে লেখা চলছে লেখা আজকাল পালা করে দেশ প্রতিরক্ষা করে সীমান্তে মেশিনগান হাতে পাহারা দেয় বাড়ি ফিরবার সময় মেয়েদের জন্য খেলনা কিনে আনে লেখার একটাই ক্রাইসিস তাকে খারাপ হতেই হবে নিদেনপক্ষে আঁভা-গার্দ টুং যেদিন লেখাকে প্রথম লেদ মেশিন চালাতে শেখায় লেখা স্তম্ভিত হয়ে যায় হার্ট কোথায় কুসুম , কই ওই নীল শিরাটা যা তালুর উল্টোদিকের সমস্ত দৃশ্যকে আলতো কামড় দেয় ? অথবা মনে করো , ক্যালেন্ডারে একটিই দিন ছাড়া আর কোনো দিবস দ্যাখা যায় না টাং ভয় পায় ভয় পাওয়া তো আর তার ব্যক্তিগত নয় তাই সানগ্লাসেরা ভূমিকা পায় একগোছা সানগ্লাস ফেউ হয়ে যায় তারা ক্রমাগত টীজ করতে থাকে টুংকে আর টাংকে ঘটনাক্রমে টুং আর টাং উতরোবে এই অবনমনের শব্দ হল হুড়মুড় ধাক্কাধাক্কিতে আরও কয়েকটা টিপটিপ , টুকটাক পড়ে যাবে , তাদের মাড়িয়ে যাবে সানগ্লাস বাহিনী দাদা , একটু দেখে , সাইড প্লীজ , ধুর শালা , চোপরাও , গলে যাবে তারা যাইহোক , নেশার ওমর হলে মাধুরী চাঁদমামা লাগায় একটা দীর্ঘ ওপর যেন আকাশ পাতাল তফাত হয়ে যাবে কে ভেবেছিলো ? এই অব্দি লেখার পর ঘাড়ে হাত রাখে মাধুরী কতদিন পরে দ্যাখা , লক্ষ্য করি মাধুরীর কাঁধে একটা কালো হাতব্যাগ , অথবা একটা কালো হাতব্যাগে মাধুরীর হাতখানা ঢুকে গ্যাছে যেভাবেই ভাবি না কেন , মাধুরী তো আর বেশিক্ষণ বসতে পারে না আবার টুং আর টাং তাকে তাড়া দেয় তাকেও ওদের সঙ্গে সঙ্গে বোতল থেকে গেলাসে জল ঢালতে হবে বাতাসার বদলে সিগারেট এগিয়ে দিতে হবে আজ দীর্ঘক্ষণ ধরে ধরে সেক্স করবে এর নীচে ঢেউ দিয়ে দিয়ে প্রেশার বজায় রাখবে যোগ্য আবহ বানাবে টুং পেঁচিয়ে পেঁচিয়ে লক্ষ্য করবে কোনো সানগ্লাসের ভ্যয়ারপনা

এসব চলে