সংশ্লিষ্ট গদ্যাবলী ৩/ভূতচালানি
টুং আর টাং’দের দেশে অনেকগুলি সানগ্লাস আছে , তারা রোদ্দুরে চুল শুকোতে দেয় , কাপড় ম্যালে , নীচু হয়ে মানুষের মাথা দ্যাখে । তাদের কড়া ধরে জোর ঝাঁকালে টুপটাপ করে ডেটলে ভেজা তুলো পড়তে থাকে সিলিঙ থেকে । সিরিয়াসলি , মনে করো রোদচশমাটায় কয়েকবিন্দু মেঘ জমে গ্যাছে , একজন মহিলা বাসে উঠছে হাতে তিনটে বেলুন নিয়ে । দুটো নীল । একটা শাদা , মিল্কি হোয়াইট ... এবার বেলুনকে তো পালাতেই হয় । হৈ হৈ করে অনুরোধের ড্রামা । তারা জমে থাকে বাসের ছাদে , বামন মানুষেরা নামানোর চেষ্টা করে । লাফায় , হিংসেয় তাদের মুখের বাটাম বদলে যায় । টুং আর টাং ভাবছিলো , তারা বেলুনগুলোকে ফাটিয়ে দেবে কি না । মাথার ক্লিপ তীক্ষ্ণতাকে স্যাট করে বাঁ দিক দিয়ে পাশ কাটিয়ে চলে আসে টাং’এর মুঠোয় । টুং তাকে বাধা দেয় ।
মন্ত্রগুপ্তি ।
Oh! Shit, তোমাকে তো বলাই হয়নি কাল অথবা এসেছিলো
অধিবিদ্যা ।
অথবা নয়তো ৎ , ঠিক জানি না তবে হ্ম নয়
আলেফ ।
এইসব কথা বলতে না বলতেই টুং মস্ত বড় একটা ডিলডো হয়ে ওঠে । ঘটনাচক্রে , সেইদিনই এক মেয়ে তাকে বলেছিল , তেরা ডিলডো তো মস্ত হ্যায় । সম্ভবত বিহারিনি । তার গলায় অদ্ভুত টান , একটা ঙ কে পেঁচিয়ে রাখলে যেরকম টান হয় । সে ডিলডোর চোখে বেছে বেছে একটা মোটা সানগ্লাস পরিয়ে দিয়ে বলেছিল , ক্যা দিখাই দে রহা হ্যায় ? টুং বলেছিল , খুশবু । সেদিন ধরে লেখা চলছে । লেখা আজকাল পালা করে দেশ প্রতিরক্ষা করে । সীমান্তে মেশিনগান হাতে পাহারা দেয় । বাড়ি ফিরবার সময় মেয়েদের জন্য খেলনা কিনে আনে । লেখার একটাই ক্রাইসিস । তাকে খারাপ হতেই হবে । নিদেনপক্ষে আঁভা-গার্দ । টুং যেদিন লেখাকে প্রথম লেদ মেশিন চালাতে শেখায় লেখা স্তম্ভিত হয়ে যায় । হার্ট কোথায় কুসুম , কই ওই নীল শিরাটা যা তালুর উল্টোদিকের সমস্ত দৃশ্যকে আলতো কামড় দেয় ? অথবা মনে করো , ক্যালেন্ডারে একটিই দিন ছাড়া আর কোনো দিবস দ্যাখা যায় না । টাং ভয় পায় । ভয় পাওয়া তো আর তার ব্যক্তিগত নয় তাই সানগ্লাসেরা ভূমিকা পায় । একগোছা সানগ্লাস ফেউ হয়ে যায় । তারা ক্রমাগত টীজ করতে থাকে টুংকে আর টাংকে । ঘটনাক্রমে টুং আর টাং উতরোবে । এই অবনমনের শব্দ হল হুড়মুড় । ধাক্কাধাক্কিতে আরও কয়েকটা টিপটিপ , টুকটাক পড়ে যাবে , তাদের মাড়িয়ে যাবে সানগ্লাস বাহিনী । দাদা , একটু দেখে , সাইড প্লীজ , ধুর শালা , চোপরাও , গলে যাবে তারা । যাইহোক , নেশার ওমর হলে মাধুরী চাঁদমামা লাগায় । একটা দীর্ঘ ই’র ওপর যেন আকাশ পাতাল তফাত হয়ে যাবে কে ভেবেছিলো ? এই অব্দি লেখার পর ঘাড়ে হাত রাখে মাধুরী । কতদিন পরে দ্যাখা , লক্ষ্য করি মাধুরীর কাঁধে একটা কালো হাতব্যাগ , অথবা একটা কালো হাতব্যাগে মাধুরীর হাতখানা ঢুকে গ্যাছে । যেভাবেই ভাবি না কেন , মাধুরী তো আর বেশিক্ষণ বসতে পারে না । আবার টুং আর টাং তাকে তাড়া দেয় । তাকেও ওদের সঙ্গে সঙ্গে বোতল থেকে গেলাসে জল ঢালতে হবে । বাতাসার বদলে সিগারেট এগিয়ে দিতে হবে । আজ দীর্ঘক্ষণ ধরে ধরে সেক্স করবে । ক’এর নীচে স ঢেউ দিয়ে দিয়ে প্রেশার বজায় রাখবে । যোগ্য আবহ বানাবে । টুং পেঁচিয়ে পেঁচিয়ে লক্ষ্য করবে কোনো সানগ্লাসের ভ্যয়ারপনা ।
এসব চলে ।