ঠিক তলপেটের কাছে একটা চাপা চাপা স্পার্ক এলে বাবু বুঝতে
পারে তার প্রায় হয়ে এসেছে, এমনিতে এখান এ সি তে খুব গরম টরম এর ব্যাপার নেই (চললে
পরে, না চললে এঘরে ঢোকার কোন সিন নেই) কিন্তু তাও বাবু ঘামছিল।
এরকম কেস রেয়ার। বছরে একটা কি দুটো। ডকুমেন্টে ফিমেল ২৪ দেখেই বাবুর
ছোটভাই সাড়া দিতে শুরু করেছিল, তারপর যখন দেখল যে কেস মাত্র দু ঘন্টা আগে
এক্সপায়ার্ড, তখন তো উত্তেজনায় বাবুর গায়ে কাঁটা দিচ্ছে, বডি এখনো স্টিফ হয়নি খুব
একটা।
সই সাবুদ করে লোকজনদের ভাগালো বাবু যত তাড়াতাড়ি সম্ভব। কাল
অটোপ্সি হবে। আজ এই একটা রাতই আছে বাবুর হাতে। অটোপ্সির পর আর কিছু করা সম্ভব
হবেনা বাবুর পক্ষে। ইদানিং হোলনাইট ডিউটিগুলো রেগুলার পাওয়ায় বাবুর আগের মত
অসুবিধা হয়না।
হাসপাতালে ফোন করে নিল বাবু একবার, আর কোন কেস আছে কিনা
শুনতে। নেই। নিশ্চিন্ত হয়ে বাবু দরজা খুলে ঘরে ঢুকল এবার। এখনো ড্রয়ারে ঢোকানো
হয়নি বডি, মুখের ওপর থেকে ঢাকাটা সরিয়ে বিস্ময়ে স্তম্ভিত হয়ে গেল বাবু, এতো শুধু
সুন্দরী নয় রীতিমতো রূপসী বলা চলে এঁকে, একটু ফ্যাকাশে রক্তহীন লাগছে। মেয়েটির ঠিক
গলার নীচে ছুরি বা চপার ঢুকিয়ে কেউ ঠিক মাই-এর শেষ পর্যন্ত টেনে নিয়ে গেছে। একবার।
কোন ঘষাঘষির দাগ নেই। একটাই। নিখুঁত। প্রচন্ড শক্তিশালী টান। হাসপাতাল থেকে
কোনরকমে একটা কাপড় জড়িয়ে দিয়েছে, সেটাও সরালো বাবু, বেশ ছোটখাট বাতাবিলেবুর মত
মাই, একটু ঝুলে পড়েছে দুদিকে, কাটা জায়গার মধ্যে দিয়ে চিরে যাওয়া শ্বাসনালী,
হৃৎপিন্ড, ফুসফুসের খানিকটা দেখা যাচ্ছে। সন্তপর্ণে ক্ষতের ধার বরাবর চেটে দিল
বাবু, নীচ থেকে শুরু করে, গলা অবধি পৌঁছে, একটু মাথা তুলে ঠোঁটে চুমু খেল, ‘কষ্ট হয়েছে
না’ ফিসফিসিয়ে
বলল বাবু, মেয়েটির কানে। ‘এভাবে কেউ মারে? কষ্ট হয়েছে না খুব?’ মাথায় হাত বুলিয়ে
ঠান্ডা কপালে চুমু খেল আবারও বাবু। ‘এই তো সোনা, দেখবে আমি তোমার কত আরাম করে দিই’ বাবু
মেয়েটির স্তনবৃন্তে দাঁত দিয়ে আস্তে আস্তে কুরে দিতে দিতে বলল। দু ঘন্টা আগে
এক্সপায়ার্ড, এখনো মেয়েটির হাত পা নাড়ানো যাচ্ছে। পা দুটো ফাঁক করে নিল বাবু, আঙুল
দিয়ে পরখ করে নিল একবার।
ঠিক তলপেটের কাছে একটা চাপা চাপা স্পার্ক আসার পর, কেমন যেন
অস্বস্তি হতে থাকে বাবুর, অন্য দিনের মত নয় ব্যাপারটা, যেন অনেকটা কিছু বেরতে
চাইছে বাবুর ভেতর থেকে, অনেক পরিমান কিছু, অস্বস্তিটা পাশে সরিয়ে রাখল বাবু, আরও
কয়েকবার কোমর নাচিয়ে উঠে দাঁড়াল। মেয়েটির বুকের ক্ষতটার কাছে হাত ধরে চেপে নিয়ে যায়
নিজের লিঙ্গ, কয়েকবার নেড়ে নিতে অন্যান্য দিনের মত চিড়িক চিড়িক নয়, আজ যেন গবগব করে
বাবুর বীর্য্য বেরতে শুরু করল, ক্রমে পুরো ক্ষতটা বাবুর বীর্য্যে ভরে গেলে বাবুর
ছোট ভাই শান্ত হয়।
মাথা ঠান্ডা হলে পুরো দৃশ্যটা দেখতে দেখতে আতঙ্কে মাথার চুল
খাড়া হয়ে যায় বাবুর, এত বেরোল কী করে, আগের কোনবারই এত মাল বেরয় নি বাবুর, এবার
যেন এক কলস। এই অলৌকিক সুন্দরী মেয়েটি, এবং তার বুকের গভীর ক্ষত ভর্তি বীর্য্য
বাবুকে আস্তে আস্তে ঘরের কোনে নিয়ে গিয়ে বসিয়ে ফেলে, থেবড়ে, পা ছড়িয়ে, তার অন্ডকোষ
মর্গের ঠান্ডা মেঝের সংস্পর্শে গুটিয়ে শক্ত হয়ে অপেক্ষা করতে থাকে কিছু একটা ঘটার।
প্রচন্ড কাশি ও টানের শব্দে ঘন্টা খানেক পরে চটকা ভাঙে
বাবুর। মেয়েটি। আস্তে আস্তে উঠে দাঁড়ায় বাবু, ঘরের কোন থেকেই দেখতে পায়, মেয়েটির
বুকের ক্ষতটা ভরাট, আর নেই। কোন শব্দ না করে প্যান্ট পরে নেয় বাবু। ঘরের দরজা খুলে
বাইরে এসে বসে, অন্যান্যবারের মতই দরজা খোলা রেখে দেয়।