স্বাধীনতা পরবর্তী
একটি অগণতান্ত্রিক গদ্য...
শিমূলতলা থেকে
সোমালিয়া যাওয়ার পথে পুরোনো বটতলায় বুড়ো শিব মন্দিরের কাছে কয়েকটি অনাঘ্রাত ফুল এদিক ওদিকে ছড়িয়ে ছিল অবহেলে।মরচে
পড়া সৈনিকরা রক্তমাখা বুটের আওয়াজ তুলে যাচ্ছিল ক্রমাগত।তাদের বেওনেট ছিল উপোসী।তাই,ধমনীতে প্রবাহিত
আগুনের শর্ত সব কিছু পুড়িয়ে দিচ্ছিল আগের মতন।
তাদের তরবারিতে
লেপটে ছিল গর্ভস্থ শিশুর ভ্রুন।রক্তে মাখা দু হাত তুলে তারা কোনো এক অনুপস্থিত
ঈশ্বরের নামে জয়ধ্বনি দিচ্ছিল।অন্য অনেকের মত আমিও ভাবছিলাম, বেশ হয়েছে। এতদিনে
উচিত শিক্ষা পেল হতভাগারা।গাদাগুচ্ছের বাচ্চা পয়দা করে শেষে আমাদের minority বানিয়ে দিচ্ছিল বেজন্মারা।
দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের
এক পরিত্যক্ত কবরখানা থেকে উঠে আসা এক মরা সৈনিক আমাকে বলল, এক কাপ কফি হবে?আমি
সবিনয়ে জানালাম, আধ কাপ হতে পারে, তাও চিনি ছাড়া।সে বলল, তাই দাও, তারপর অবশিষ্ট
বুলেটখানা রেখেছি তোমার জন্য।শূন্য দশকের বাংলা কবিতা যে আসলে তিরিশ এর দশকের
ইউরোপীয় ধারনার অনুসরণমাত্র, তা ভেবে
দুজনেই খুব হাসলাম।হাসি শেষে প্রথা মেনে সে আমার দিকে বন্দুক তাক করল।
ঘোলাটে জানালায় বৃষ্টি টুকি দিতে পারে ভেবে সদর দরজায় কামান বসিয়েছি
বরাবর।সীমান্তে টেনেছি অবিরাম রক্তরেখা।বুড়ো রোদ্দুর, উড়ো চিঠি, কোনো কিছুই তোকে
আর আমার কাছে ফেরাবেনা জানি।তবুও খিদে পেলে রোজ রাতে লাশ এর পাহাড়ে বসে থাকি।হয়ত
এর মধ্যেই কোনো না কোথাও তুই মরা চোখ আর একমুখীন গদ্য নিয়ে চেয়ে আছিস।
মুখোশটা যে কোথায় হারালাম...