একটি টরেন্ট অথবা ন্যাকা প্রেমের গপ্পো
পথচলতি রেস্তোরাঁ। এসিহীন ইন্টেরিয়র। কোণের টেবিল। ছেলেটা হুমড়ি দিয়েছে
হাক্কাচাউয়ে। বোঝা যাচ্ছে, সে সারাদিনের ক্ষুধার্ত ও ক্লান্ত। সস্তামানের ব্যবহৃত জামা।
মেয়েটা উল্টোদিকে। খাচ্ছে না। খাবার সে নেয়নি। মেকাপে মসৃণ স্নেহ। পোশাকে শপিং
মলের ছাপ। একাগ্রতায় ছেলেটার খাওয়া দেখছে। দৃষ্টিতে করুণা-কৌতুক। ছেলেটা খাওয়া থামায়। মেয়েটা
চোখ সরিয়ে ডিও-মাখানো রুমাল বের করে।
মেয়েটাঃ শীতকালেও এত হিউমিডিটি! শিট! কলকাতায় সিজন
বলে আর কিছু রইল না!
ছেলেটাঃ তোকে একটা কথা বলার ছিল ...
দুজনেই চুপ। মেয়েটা পেপারসল্ট খেলছে। কেউই কাউকে সোজা দেখছে না। একটা পিঁপড়ে
চেষ্টা করছে সসের নাগাল।
ছেলেটাঃ সেদিন তুই রাগ করে চলে গেলি... আসলে... আসলে আমি কিন্তু ইমপোটেন্ট
নই...
মেয়েটাঃ জানি। বাট ইন ফ্যাক্ট, সেটা খুব কিছু ম্যাটার করে না...
ছেলেটাঃ খুব ঝামেলায় আছি রে... আমার আগে একটা চাকরি দরকার...
ছেলেটার একটি আঙুল মুঠোয় নেয় মেয়েটা। ছেড়ে দ্যায়। পাশের কালো কাঁচ দিয়ে বাইরে
তাকায়। সন্ধ্যে নামছে। ঘন হচ্ছে ট্র্যাফিকী-আইল্যাশ।
মেয়েটাঃ আসলে কিছুই আর ম্যাটার করে না... বাবার কাছে ম্যাটার করে না যে আমি
ফিল্মস্টাডিটা করতে চাই... বলছে, ওসব এক্সকিউজেস... পিএইচডিটা কমপ্লিট হলেই বিয়ে
দিয়ে দেবে... মা বলছে, ওসব সিডনি গিয়েও হবে... মৈনাক তো ওখানেই সেটলড...
সামনে খালি প্লেট। ছেলেটা চোখ রাখে গ্লাসের জলে। স্বচ্ছ কাঁচে ভাসছে তার মুখ।
হাতের ফর্কটা গেঁথে দ্যায় জলে। ছায়াটা বেঁকে যেতে থাকে।